অপেক্ষার ত্রিশ বছর
—————————–
ত্রিশ বছর পেরিয়ে গেল
আমি তোমার অপেক্ষায়।
পথে পথে ঘুরে বেড়াই
তোমাকে দেখার আশায়।
পায়ের নীচে তপ্ত পিচ আর
মাথার উপর আকাশ।
তোমার কথা মনে হলে
আসে কষ্টের দীর্ঘশ্বাস।
খোলা পায়ে ঝাঁকড়া চুলে
পথে পথে ঘুরি,
জানলাম না আজও আমি
কেন দিয়েছিলে আড়ি।
লোকে আমায় পাগল বলে
কেউবা বলে দেবদাস!
যে পথের ধারে ছেড়ে গেছ
সেখানেই আমার বসবাস।
তারিখঃ ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
পুনশ্চঃ
কুড়ি বছর আগের স্কুল বা কোচিং এ যাবার পথে এলাকায় এক লোক কে দেখতাম একটা সাদা পাঞ্জাবীর উপর ধুসর সোয়েটার ভেস্ট পড়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াত। গ্রীষ্ম বা শীতেও তার একই পোষাকে দেখতাম। প্রচন্ড রোদেও তাকে একা একা দাঁড়িয়ে কথা বলতে দেখেছি। একই পোষাক হলেও তার পরনের পোষাক কিন্তু ময়লা নোংরা ছিল না। একেবারে পরিষ্কার ফিটফাট। মাথার চুলও থাকতে আঁচড়ানো। সব সময় দেখেছি হয় তার দুহাত পিছনে রেখে হন হন করে হেটে যেতে। অথবা এক হাত পিছনে আরকে হাতে । মাঝে সাঝে চায়ের দোকানের সামনেও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যেত। তার ব্যাপারে উৎসাহী হয়ে একবার তার সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছিলাম। খুব বেশী কিছু জানতে পারি নি। একজন বলেছিল সে নাকি পাগল। আরেকজন বলেছিল ছ্যাকা খেয়ে ঘরছাড়া। এর বেশী কিছু জানতে পারে নি। তার ব্যাপারে আর কখনো খোঁজ নেবার চেষ্টা করিনি আর দেখলেও পাত্তা দিতাম না। শেষ কবে দেখেছিলাম তা ঠিক মনে করতে পারছি না। দুদিন আগে অফিস শেষ করে বাসায় ফেরার পথে দূর থেকে তাকে দেখলাম না। এখনও সেই একই রকম পোষাক আর একই ভঙ্গিতে জলন্ত সিগারেট নিয়ে রাস্তায় হটছে। তাকে দেখে হঠাৎ কবিতার বেশকিছু লাইন মাথায় চলে এসেছিল। অতঃপর এই মাইক্রো কাব্য লিখা। দয়া করে মনে করবেন না যে এটা আমার জীবন থেকে নেয়া অথবা আমি নিজের কোন কথা।